জুমবাংলা ডেস্ক : ব্যাপক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে চলতি অর্থবছরে দেশে আসছে রেমিট্যান্স। এর মধ্যেই গত ১০ মাস যে পরিমাণ এই প্রবাসী আয় যোগ হয়েছে, দেশের রিজার্ভে তা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ কোটি ৯৫ লাখ ডলার বেশি।
যদিও সদস্য সমাপ্ত মাস এপ্রিলে বিভিন্ন দেশে কর্মকর্ত বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৬৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার, যা ঠিক এর আগের মাসে চেয়ে ৩৪ কোটি (৩৩.৯) ডলার কম।
ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের পাঠানো আয়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে; এপ্রিলে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
সদ্য সমাপ্ত ওই মাসে রেমিটেন্স এসেছে ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার, যা আগের বছর এপ্রিলে ছিল ২০১ কোটি ডলারের সামান্য বেশি।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্সের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য বলছে, গত মার্চে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০২ কোটি ২৫ লাখ ডলার।
মাসভিত্তিক হিসাবে দেখা গেছে, গত ১০ মাসের মধ্যে জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার প্রবাসী আয় নিয়ে শুরু হয় চলতি অর্থবছর। এর পরের মাস আগস্টেও ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার নিয়ে থাকে ২০০ কোটির ঘরে। তবে পরের মাস সেপ্টেম্বর মাসেই নামে ব্যাপক ধস। এক ধাক্কায় নেমে আসে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলারে।
পরের মাসে আরও খানিকটা কমে নামে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ডলারে। নভেম্বরে ঘুরে দাঁড়ালেও থেকেছে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ ডলারে। ডিসেম্বরেও বেড়েছে, ওই মাসে দেশে এসেছে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার প্রবাসী আয়। জানুয়ারিতে প্রায় ২০০ কোটি ডলার ছুঁয়ে ফেলা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৯৫ কোটি ৮৯ কোটি ডলার। পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে আবার নেমে আসে ১৫৬ কোটি ৫ লাখ ডলারে।
হিসাব বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রথম ১০ মাসে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৭৩০ কোটি ৯১ লাখ ডলার। আর গত ১০ মাসে দেশের রিজার্ভে জমা হয়েছে ১ হাজার ৭৭১ কোটি ৮৬ লাখ ডলার প্রবাসী আয়। অর্থাৎ এই সময়ে ৪০ কোটি ৯৫ লাখ ডলার বেশি প্রবাসী আয় এসেছে দেশে।
Leave a Reply